,

একসঙ্গে চার সন্তান জন্ম দিলেন প্রবাসীর স্ত্রী

জেলা প্রতিনিধি, যশোর: বিয়ের ১০ বছরের মাথায় একসঙ্গে চার সন্তানের মা হলেন শারমিন আক্তার শম্পা নামে যশোরের এক নারী।

শহরের কুইন্স হাসপাতালে সোমবার রাতে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে দুই ছেলে ও দুই কন্যাসন্তানের জন্ম দেন তিনি।

একসঙ্গে চার নবজাতকের জন্মের খবরে হাসপাতালে ভিড় করছেন আত্মীয়স্বজন ও উৎসুক মানুষ। ওই চার নবজাতকের মধ্যে তিনজন ও তাদের মা পুরোপুরি সুস্থ আছেন বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

শম্পার এক স্বজন জানান, সদর উপজেলার বসুন্দিয়া এলাকার মালয়েশিয়া প্রবাসী কুদ্দুস মোল্লা ২০১২ সালের ২৬ জুলাই শম্পাকে বিয়ে করেন। এর পর থেকেই তারা বাচ্চা নেয়ার চেষ্টা করছিলেন। তবে শারীরিক নানা সমস্যার কারণে সেই চেষ্টা সফল হয়নি।
সবশেষ ২০২১ সালের শেষ দিকে গর্ভধারণের বিষয়টি নিশ্চিত হন শম্পা। আলট্রাসাউন্ডের মাধ্যমে একসঙ্গে চার সন্তান পেতে যাওয়ার বিষয়টি তারা নিশ্চিত হন। ১৯ আগস্ট তার প্রসবের তারিখ ছিল। তবে এর আগেই ব্যথা ওঠায় সোমবার বিকেলে কুইন্স হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। এরপর রাতে সিজারের (অস্ত্রোপচারের) মাধ্যমে সন্তান জন্ম দেন শম্পা। এদের মধ্যে দুটি ছেলে ও দুটি মেয়ে।
একসঙ্গে চার শিশু জন্ম নেয়ায় একটি শিশুর ওজন স্বাভাবিকের তুলনায় কম হয়েছে। তার শারীরিক অবস্থা ‘ক্রিটিক্যাল’ হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতেই আদ্-দ্বীন হাসপাতালে পাঠান চিকিৎসক।
শম্পা বেগম জানান, তার স্বামী কুদ্দুস মোল্যা বর্তমানে মালয়েশিয়া রয়েছেন। মোবাইল ফোনে স্বামীকে সন্তান ভূমিষ্ঠের খবর দেয়া হয়েছে। তিনি খুব খুশি।
চার সন্তানের জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন এ দম্পতি।

হাসপাতালের গাইনি বিশেষজ্ঞ প্রতিভা ঘরাই বলেন, ‘নবজাতকদের স্বাভাবিক ওজন হলো আড়াই কেজি। কিন্তু এই চার নবজাতকের মধ্যে একজনের ওজন স্বাভাবিকের তুলনায় কম হওয়ায় তাকে আদ-দ্বীন হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। ওই শিশুটি দ্রুত সুস্থ হবে বলে আমরা আশাবাদী।’

বসুন্ধরা ইউনিয়নের নারী ইউপি সদস্য বলেন, ‘শম্পা তার সম্পর্কে ভাগনে বউ। তাদের বংশের মধ্যে কারোর যমজ সন্তান নেই। এমনকি আমাদের ইউনিয়নেও কারোর একসঙ্গে চার সন্তান হয়েছে বলে জানা নেই। ফলে আমরা খুব খুশি।’

যশোর কুইন্স হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ুন কবীর কবু বলেন, ‘আমাদের হাসপাতালে এর আগে এক মা চার সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। সেই সন্তানরা সুস্থ আছে। আরেক মা একসঙ্গে চার সন্তানের জন্ম দিলেন। একটি সন্তান ওজন কম হওয়ায় কিছুটা অসুস্থ। তাকে পাশের হাসপাতালে বিশেষ তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছে। দ্রুতই শিশুটি সুস্থ হয়ে উঠবে। এ ছাড়া এই মায়ের সঠিক চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে আমি নিজেই নজরদারি করছি।’

এই বিভাগের আরও খবর